হাওর বার্তা ডেস্কঃ মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের বাঁধঘাট এলাকায় সরকারী খাল দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
এভাবে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করতে থাকলে খালটি ছোট হয়ে পানির স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত, বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই খালের পানি লোকালয় ঢুকে পড়ার কারণে কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়িসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, ওই ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া খালটির দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার। মানুষের যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনের একমাত্র ভরসা ছিল এই খালটি । দীর্ঘদিন যাবত খালটি খনন না করায় শুধুমাত্র কৃষি ক্ষেতে সেচকাজ ও পানি নিষ্কাশনের জন্য খালটির পানি ব্যবহার করছে এলাকাবাসী। কিন্তু ওই এলাকার বাসিন্দা মো. খলিল মেলকার খালটির বাধঁঘাট এলাকায় খাস জমি দখল করে নির্মাণ করছেন পাকা স্থাপনা ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও খলিল মেলকার স্থায়ীভাবে কলম গেঁথে ধীরে ধীরে পাকা স্থাপনা নির্মানের কাজ এগিয়ে যাচ্ছেন। খালটির সুইজ গেটের পাশে সরকারী জমি দখল করে কলম (পিলার) বসিয়ে নিচের অংশের নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ করেছেন।
কাকড়াবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো.জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ভয়াং,বৈদ্যপাশা, রানীপুর,সাতবাড়িয়া,কলাগাছিয়া ও মকুমা গ্রামের পানি নিষ্কাশন হয় এই খালটি দিয়ে। প্রভাবশালীদের দখলের কারনে কৃষকের কোন উপকারে আসছেনা খালটি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. খলিল মেলকার বলেন, খালের পাশেই আমার রেকর্ডীয় জমি । আমার স্থাপনার কিছু অংশ খালের মধ্যে সিকিস্তি জায়গায় পড়তে পারে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজ করতে নিষেধ করায় আপাদত ভবন নির্মানের কাজ বন্ধ আছে।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সরোয়ার হোসেন বলেন,কাকড়াবুনিয়া বাধঁঘাট এলাকায় জনৈক খলিল মেলকার নামে এক ব্যক্তির বিরূদ্ধে খালের জমি দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে গিয়ে নির্মান কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।